প্রতীক্ষা

শীত / ঠাণ্ডা (ডিসেম্বর ২০১৫)

মোজাম্মেল কবির
  • ১৩
তিন নাম্বার প্লাটফরম এর পূর্ব পাশের লাল রঙ করা ওভারহেড ট্যাঙ্ক থেকে দিন রাত উপচে পানি পরছেই। মফিজ অপলক তাকিয়ে থাকে উপচে পরা পানির দিকে। ড্রেনে বয়ে যাচ্ছে টলমলে স্বচ্ছ পানি। ময়মনসিংহ জংশনের সরকারী পানি। একের পর এক ট্রেন আসছে। প্রয়োজনে পানি ভরে নিচ্ছে। তাই কখন পানির ট্যাঙ্ক খালি হয়ে যায় সেদিকে কতৃপক্ষ সজাগ। কিন্তু পানি উপচে পরছে সেদিকে কারো দৃষ্টি নেই।
একটা ট্রেন এসে থামছে রুটি কলা বিক্রেতারা ছুটে যাচ্ছে জানালার কাছে। পিছনে আরেকজন ডাকছে -পানি পানি... জানালায় হাত বাড়ানো যাত্রীর হাতে পানির বোতল তুলে দিয়ে তার দাম পকেটে ঢুকিয়ে ছুটে চলে অন্য আরেক ক্রেতার জানালায়।
পানি উপচে পরা আর বোতলে পানি বিক্রি করা, মফিজ এই দুটি দৃশ্য খুব উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে দেখে। কিছুক্ষণ পর পর নিজের অজান্তেই চিৎকার দিয়ে বলে উঠে -হায় পানি!স্টেশনে পুরোনো দোকানীরা তার গল্প অনেকেই জানে। স্টেশনে মফিজ পানি পাগল হিসাবে পরিচিত। একত্রিশ বছর এই স্টেশনে আছে পানি পাগল মফিজ। বৃষ্টি নামলে সে খালি গায়ে সারাক্ষণ ভিজে যতক্ষণ না বৃষ্টি থামে। কেউ কেউ তাকে বৃষ্টিতে ভিজে চিৎকার করে কাঁদতে শুনেছে। তখন চোখের জল বৃষ্টি ধুয়ে ফেলে।

খুব ভোরে মফিজ পিঠে বস্তা নিয়ে শহরের পথে বের হয়। পথে পরে থাকা কাগজ, পানি আর কোমল পানীয়র খালি বোতল কুড়িয়ে মোড়ের দোকানে বিক্রি করে কোন দিন পঞ্চাশ কোন দিন আবার আশি নব্বই টাকা পায়। তাতেই তার দিন চলে যায়।


লালমিয়া স্টেশনের পুরনো দোকানী। আগে বই পত্রিকার দোকান ছিলো। মানুষ আগে স্টেশন থেকে প্রচুর বই কিনতো। শরৎ চন্দ্রের ছবি সহ শ্রীকান্ত, গৃহ দাহ, শেষ প্রশ্ন এই বই গুলো সামনের সারিতে সাজানো থাকতো। আরও থাকতো রঞ্জন দেবনাথ এর নাটকের বই। শীত শুরুর আগেই গ্রামের হাট বাজারে শহরের পাড়া মহল্লায় ক্লাব ও সাংস্কৃতিক সংঘঠনের আয়োজনে যুবক থেকে বৃদ্ধ নাটকের মোহড়ায় মেতে উঠতো। প্রচুর নাটকের বই বিক্রি হতো তখন।
এখন আগের মতো বই বেচাকেনা হয় না। তাই লালমিয়া এখন খাবারের দোকান দিয়েছে। দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা চলে দোকান। লালমিয়া এখন চা বিস্কুট পান সিগারেট কলা রুটি এই সব বিক্রি করে। দিনে দুই বার মফিজ দোকানের চারপাশ ঝাড়ু দেয়। বিনিময়ে মফিজকে চা বিড়ি খেতে দেয় লালমিয়া। রাতে দোকানের এক পাশে ঘুমায়।


বাণিজ্য বিভাগের কলেজ শিক্ষক মুস্তাফিজ বাণিজ্য বুঝে না। তার সহকর্মী অনেকেই টিউশনি করে ভালো রোজগার করছে। তার কাছে এই কাজ অনৈতিক মনে হলেও অনেকেই করছে। মাস শেষে বেতনের টাকা থেকে বাসা ভাড়া দেয়ার পর যা থাকে তাতে চাল ডাল মাছ তরকারির যোগান দিতেই শেষ। সেখান থেকে কাটছাঁট করে প্রতি মাসে বৃদ্ধা মায়ের হাতে কিছু টাকা দিতে হয়।
উঠতি বয়সের ছেলে মুকুল অপুষ্টিতে ভুগছে। মাছ মাংসের প্রচুর চাহিদা ওর শরিরে। যোগান দিতে কষ্ট হয়। ডিসেম্বর মাস শুরু হয়েছে, সামনে পরিক্ষা। এই বয়সে কম বেশী দুধ খেতে দেয়া দরকার ছিলো।
আজকাল বিজ্ঞাপন মানুষের মনে বাড়তি চাহিদার সৃষ্টি করছে। চাতুরী বিজ্ঞাপন মানুষের মগজে প্রতিদিন যোগ করছে নতুন নতুন অদরকারী পণ্যের বার্তা। পণ্যের দামের চাইতে বিজ্ঞাপন খরচ বেশী। সেই খরচ আর লাভের অংশ যোগ করে তিনগুণ দামে পণ্য ঢুকছে ক্রেতার ঘরে। সরকারের কাছ থেকে তেরো টাকা গিগাবাইট কিনে বিশ চল্লিশ গুণ বেশী দামে ডাটা বিক্রি হচ্ছে। মিনিপ্যাক বিক্রি হচ্ছে শতগুণ বেশী দামে। তিন টাকার পণ্যে ছয় টাকার বিজ্ঞাপন যোগ হয়ে নয় টাকায় পণ্য কিনে ধন্য হয় ক্রেতা। এটাই নাকি আধুনিক অর্থনীতির নিয়ম।
মুস্তাফিজ সেদিন ছেলে মুকুলকে পাশে নিয়ে টেলিভিশনে খবর দেখছিলো। খবরের বিরতিতে বিজ্ঞাপনে দেখায় আজকাল নাকি দুধের সাথে হরলিকস্ মিশিয়ে খাওয়াতে হয় সন্তানদেরকে। এতে নাকি শরিরের সাথে মস্তিস্কের সব চাহিদা পূরণ হয়। এই বিজ্ঞাপনের সময় মুস্তাফিজ রিমোট চেপে অন্য চ্যানেলে চলে যায়। সেখানেও একই বিজ্ঞাপন দেখে মুস্তাফিজ একটু বিব্রত বোধ করে। ছেলে বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা জানতে চাইছিলো কিন্তু মনে জোর পায়নি।
মুস্তাফিজ ঠিক করেছে এই মাসে সে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনবে না। এই টাকায় ছেলের জন্য দুধ আর সাথে একটা হরলিকস্ কিনে দিবে। দুধের সাথে হরলিকস্ খেয়ে শরীরে বাড়তি চাহিদা পূরণ হোক না হোক ছেলের মনের জোর তো অন্তত বাড়বে।


আজ রাতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হবে। একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছে। রাত বারোটায় গাড়িতে কম্বল নিয়ে শহরে ঘুরে ঘুরে প্রকৃত শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হবে। সমিতি কম্বল বিতরণের জন্য একটা উপ কমিটি করে মুস্তাফিজের হাতে দায়িত্ব দিয়েছে। সাথে তার সহকর্মী আরো চার পাঁচ জন থাকবে। সবাই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত। সে রাজনীতি করে না।
রাতে সমিতির অফিসে এসে টেলিভিশন চ্যানেল এর গাড়ি, ভিডিও ক্যামেরা হাতে সাংবাদিক দেখে একটু বিব্রত হয় মুস্তাফিজ। এই সামান্য কাজ প্রচারের কি আছে? তার কথা কেউ গুরুত্ব দেয় না।
-এটা আত্মপ্রচার না। মানুষকে এই কাজে উৎসাহিত করা। বুঝলেন মুস্তাফিজ সাহেব?
মুস্তাফিজ কোন উত্তর দেয় না।
চার রাস্তার মোড়ে গাড়ি থামে। একজন কম্বল হাতে তৈরী, ক্যামেরার লাইট জ্বলে উঠে। এক এক করে কম্বল হাতে এগিয়ে যায়। কেউ একজন রিক্সাওয়ালার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিচ্ছে। ফুটপাতে শুয়ে থাকা পাগলের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেয়ার দৃশ্য ধারণ করছে ক্যামেরা। মুস্তাফিজের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে যায়। গাড়িতে চুপ করে বসে বসে সে যেনো নাটকের একেকটি দৃশ্য ধারণ করতে দেখছে। শহর ঘুরে কম্বল বিতরণের শেষ দৃশ্য গুলো ধারণ করতে গাড়ি ছুটে চলে রেল স্টেশনের দিকে। সেখানে কয়েকটি দৃশ্য ধারণ করার পর শত শত মানুষ ঘিরে ফেলে গাড়িটি। শত শত নারী পুরুষ শিশু... মুহুর্তেই কম্বল শেষ হয়ে যায়। সেই হুড়োহুড়ি করার দৃশ্যটিও ক্যামেরাবন্দি করা হয়।

মুস্তাফিজ গাড়ি থেকে নেমে একটু দূরে দাড়িয়ে দেখছে। সহকর্মীদের আত্মপ্রচার চেষ্টা দেখে নিজেকে এমন মহৎ একটি কাজের সাথে যুক্ত ভাবতেও লজ্জা পাচ্ছে। সবাই নিজের মুখটি ক্যামেরার আলোর সামনে তুলে ধরতে ব্যাস্ত। রেল স্টেশনের সব দুস্থ মানুষ ঘিরে আছে গাড়িটি। গাড়িতে কম্বল নেই এই কথা কেউ বিশ্বাস করছে না। ক্ষোভে কেউ কেউ গাড়িতে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। এক পর্যায়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে কোনমতে পালিয়ে বাঁচে সবাই। তাদের একজন সঙ্গী রয়ে গেছে সেদিকে খেয়াল নেই।
মুস্তাফিজ দূরে দাড়িয়ে একজন মানুষকে শুধু দেখতে পেলো যে এই কম্বল পেতে হুড়োহুড়ির মধ্যে নেই। লোকটা হৈচৈ শুনে চটের বস্তার ভিতর থেকে একবার শুধু মাথাটা বের করে ঠেলাধাক্কা কাড়াকাড়ির দৃশ্য দেখে আবার তার মাথা ঢেকে ফেলে।


এক দিন পর রাতে বাড়ি ফরার পথে মুস্তাফিজ একটা গুড়ো দুধের প্যাকেট কিনে। হরলিকস্ এর জন্য বরাদ্দ টাকা দিয়ে একটা কম্বল কিনে। রিক্সা নিয়ে রেল স্টেশনের সেই দোকানের পাশে শুয়ে থাকা মানুষটাকে খুঁজতে থাকে।
খুঁজে না পেয়ে মুস্তাফিজ দোকানদারের কাছে জানতে চায় -এখানে একটা লোক শুয়ে থাকে...
-লালমিয়া চোখ তুলে তাকিয়ে সালাম দেয় -স্লামালিকুম স্যার।
-আপনি আমাকে চিনেন? মুস্তাফিজ বলে।
-জি স্যার, আমার ছেলে আপনার কলেজে পড়ে। আমি স্যার আপনের বাসার কাছেই থাহি। বসেন স্যার। আপনে মনে হয় মফিজরে খুজতাছেন। এহনই আইবো। দোকানের পানি আনতে গেছে।
-অই মফিজ তাড়াতাড়ি আয়। মফিজ পানির বালতি রেখে হাত গামছায় মুছতে থাক।
-স্যার তরে খুজতাছে। লালমিয়া বলে।
-স্লামালিকুম। মফিজ বলে।
-ওয়ালাইকুম আসসালাম। বসেন বলে মফিজের হাত ধরে টেনে কাঠের বেঞ্চে বসায়। -ভালো আছেন?
-হ স্যার ভালা আছি।
হাতের কম্বলটি মফিজের হাতে তুলে দিয়ে বলে -এটা আপনার জন্য।
-স্যার একটা চা দেই? লালমিয়া বলে।
-ঠিক আছে দিন, চিনি কম দিয়ে লাল চা দিন।
চা খেতে খেতে মফিজকে বলে মুস্তাফিজ -আপনার ছেলে মেয়ে নাই? উনিশ
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতে থাকে মফিজ। যে গল্পটি যার তার সাথে করে না। যাকে তার ভালো লাগে তার সাথে করে।
-ছেলে মেয়ে সংসার... উন্নিশ শ চুরাশি সাল এরশাদ সরকারের সময়। নতুন বিয়া করছি। বউরে লইয়া ঢাকায় যাইতাছিলাম। আমার গেরামের বাড়ি গৌরীপুর। ঢাকার পোস্তগলায় একটা রড কারখানায় কাম করতাম। রাইত দিন কাম করতে অয় তাই ফেক্টরীর মালিক লেবারগর লেইগ্যা টিনের চালা ঘর বানায়া দেয়। পরিবার লইয়াও থাহুন যায়। ঈদের ছুটিতে বিয়া কইরা নতুন বউ লইয়া ঢাহা যাইতাছিলাম। নতুন বউ স্যার, লজ্জা শরম তহনো কাডে নাই।
গৌরীপুর থেইক্কা মমিসিং আইসা রেলগাড়ি ঢাহা যাইতে ইন্জিল পাল্টাইতাছে। খুব ভোর বেলা না খায়া রেলগাড়িতে উঠছি, খালিপেট। গাড়ির ইন্জিল পাল্টানি পেরায় শেষ। বউ এর মুখের দিগে চায়া দেহি মুখখান হুগ্না লাগতাছে। খিদা লাগছে, শরমে কয় না। আমি জিগাইলাম -ময়না, রুটি কলা খাবি?
ময়না কয় -হ খামু।
রুটি কলা কিইন্না বউরে লইয়া খাইলাম। একটু বাদে আমার দিগে চায়া ডরাইয়া ডরাইয়া কয় -পানি খামু...
-পানি খাবি? তুই এই সিটের মধ্যেই বইয়া থাক। আমি পানি লইয়া আইতাছি।
আমার আতের কাপ্রের পুটলাডা আমার সিটের উপ্রে রাইখ্যা পানি আনতে নিচে নাইম্যা গেলাম। ইস্টিশনের ভিতরে ঐ দিগে একটা চায়ের দোহান আছিলো। ঐ দোহানে গিয়া আমি এক গেলাস পানি খাইলাম আর এক গেলাস পানি ময়নার লেইগ্যা নিয়া আইতাছিলাম। তহন পিছে থেইক্কা আমারে ডাইক্কা কয় -অই মিয় পানির গেলাস লইয়া কই যাও? এইহানে খারইয়া পানি খাও। গেলাস নিওনের নিয়ম নাই। আমি আরেক দুহানে গেলাম হেইহানেও একই নিয়ম। আমি দৌড় দিয়া ইস্টিশনের বাইরে গেলাম।
সবাই একই কথা কয়। শেষে তিন টেহা দিয়া একটা পুরান গেলাস কিনলাম চায়ের দুহান থেইক্কা। গেলাসে পানি ভইরা ইস্টিশনে ডুইক্কা দেহি রেলগাড়ি ছাইড়া দিছে। আমি অনেকক্ষণ পিছনে পিছনে দৌড়াইলাম। আমি যতো দৌড়াই গাড়ি ততোই দূরে চইলা যায়। আমি অনেক কান্দাকাডি করলাম। পরে বারোডার লুকাল গাড়িতে ঢাহা যাইয়া সইন্ধার সময় কমলাপুর ইস্টিশনে নাইম্যা ময়নারে অনেক খুঁজাখুঁজি করলাম। আমার ময়নারে পাইলাম না।
সাত দিন ভরা ঢাহার শহরের রাস্তায় রাস্তায় খুজলাম। পাইলাম না।
মফিজের কণ্ঠ ভিজে আসছে। কথা বলতে পারছে না। থেমে যায় মফিজ।
মুস্তাফিজ জিজ্ঞাসা করে -তারপর?
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতে থাকে মফিজ -তার পরে মমিসিং ফিইরা আইলাম। আমার ময়না আমারে খুঁজতে খুঁজতে যদি এই ইস্টিশনে আয়ে? আমারে না পাইলে ও কতো কষ্ট পাইবো। আপ্নেই কইন স্যার কষ্ট পাইবো না?
-হ্যা অবশ্যই কষ্ট পাবে। মুস্তাফিজ বলে।
-আপনে জ্ঞানী মানুষ তাই বুঝলেন স্যার। আমারে মানুষ পাগলা মনে করে। আমি কিন্তু স্যার পাগলা না। আমার বিশ্বাস স্যার ময়না ঠিকই একদিন খুঁজতে খুঁজতে এই ইস্টিশনে আইবো। হেই আশায় স্যার একত্রিশ বছর ধইরা অপেক্ষায় আছি।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ।....আমার বিশ্বাস স্যার...। এটা আছে বলেই আমরা আজো টিকে আছি। ভাল লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫
মানুষ বেঁচে থাকে বিশ্বাসে... অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫
দেবজ্যোতিকাজল ভাল লিখেছ
ভালো লাগেনি ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫
আল মামুন ময়না ফিরে আসুক..... শুভেচ্ছা ও ভোট রইল।
ভালো লাগেনি ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫
অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন।
ভালো লাগেনি ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫
সৃজন শারফিনুল .....মুস্তাফিজ দূরে দাড়িয়ে একজন মানুষকে শুধু দেখতে পেলো যে এই কম্বল পেতে হুড়োহুড়ির মধ্যে নেই। লোকটা হৈচৈ শুনে চটের বস্তার ভিতর থেকে একবার শুধু মাথাটা বের করে ঠেলাধাক্কা কাড়াকাড়ির দৃশ্য দেখে আবার তার মাথা ঢেকে ফেলে... ------------------------------- কি বলবো বুঝতে পরছিনা । মন ছুয়ে গেল, অসাধারন একটি গল্প। ভালো লাগার কিছু ব্যাপার আছে শুধু কয়েকটা লাইন দিয়ে লিখে প্রকাশ করা দুষ্কর । আপনি অনন্য আসাধারণ একজন লেখক । শ্রদ্ধা আর প্রাপ্য সন্মান রইলো ।
ভালো লাগেনি ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫
মন ছুঁয়ে গেছে জেনে আনন্দিত হলাম। লেখা বিজয়ী হোক আর না হোক এখানেই আমার সফলতা... ধন্য হলাম আপনার এমন মন্তব্যে। ভালো থাকুন।
ভালো লাগেনি ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫
সেলিনা ইসলাম শীত গরীবের কষ্ট আর ধনীর শৌখিন ভণ্ডামি-এই বিষয়টিই যেন গল্পের প্লাসপয়েন্ট বলে আমার মনে হল। মুস্তাফিজের মত কিছু মানুষ এখনো আছে বলেই হয়ত মানবিকতা এই শব্দের কদরটুকু এখনো আছে। চমৎকার গল্পের পটভূমি,উপাস্থাপনা এবং লেখার ধারাবাহিকতা। তবে "অদরকারী" এখানে অপ্রয়োজনীয় শব্দটা দিলে বেশি শ্রুতি মধুর হত বলে মনে হয়। আরও একটু সময় দিলে মনে হয় ছোট ছোট কিছু ভুল নজরে আসতো যেমন- "তাদের একজন সঙ্গী রয়ে গেছে সেদিকে খেয়াল নেই।" এখানে তিনটা শব্দ মিসিং...এভাবে-তাদের একজন সঙ্গী যে রয়ে গেছে,সেদিকে কারো কোন খেয়াল নেই! এভাবে হলে মনে হয় পড়তে আরও ভালো লাগত এবং ভাব প্রকাশে যুক্তিযুক্ত মনে হত। ভালো থাকুন নিরন্তর শুভকামনা।
চুলচেরা মার্জিত এবং ইতিবাচক সমালোচনা সহ মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পরামর্শ কাজে লাগাতে চেষ্টা করবো। ভালো থাকুন আপা।
দেবজ্যোতিকাজল ভোট দিলাম ।
ধন্যবাদ। ধন্যবাদ ।
সুস্মিতা সরকার মৈত্র এই রকম গল্প পড়লে শরীরটা কেমন যেন শীতশীত করে ওঠে। শীতলতার মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প। অনেকদিন পর এই সাইটে এলাম। আপনার গল্পটি বেশ ভালো লাগল। শুভেচ্ছা ও ভোট রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ার জন্য। গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। ভালো থাকুন আপনি।
হুমায়ূন কবির মনে দাগ কেটে গেল। খুব সুন্দর উপস্হাপন। শুভেচ্ছা সহ ভোট রইল। আর আমার কবিতার পাতায় আমন্ত্রন...
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সময় করে আপনার লেখা পড়বো। ভালো থাকুন।
ফয়সল সৈয়দ আমি যতো দৌড়াই গাড়ি ততোই দূরে চইলা যায় । ----- এ লাইনে লুকিয়ে আছে গল্পের সব রহস্য। গল্পে লেখক শীত নিয়ে রাজনীতিবিদদের আদিখ্যেতা সুন্দরভাবে তুলে ধরছেন। এরশাদ সরকারের শাসনামল আমার খেয়াল পড়ে না। তবে মনে হয় এরশাদের আমলে তিন টাকায় নতুন একটি গ্লাস পাওয়া যেত। বানান ভুল খুব একটা নেই । চার নাম্বার ফ্যারায় শুরুতে ফরা ( ফেরা ) ছাড়া তেমন একটা চোখে পড়েনি। গল্প কবিতায় মনির মুকুল নামে আপনার মতোন আরেকজন লেখক আছে। যিনি ভাল গল্প লিখেন । এখন অবশ্য অনিয়মিত। ভাল থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্য। আপনি ঠিক বলেছেন এরশাদ সরকারের আমলে তিন টাকায় না পাওয়া গেলেও চার পাঁচ টাকায় পানির একটি গ্লাস পাওয়া যেতো। তবে সময় স্বল্পতায় চায়ের দোকান থেকেই পুরনো একটি গ্লাস কিনে নেয়। আমি বানানের ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকার চেষ্টা করি। তার পরেও এক দুটি ভুল থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। একবার লেখা জমা দেয়ার পর তা আর এডিট করার সুযোগ থাকে না। অনেক ভালো লেখক এখন আগের মতো নিয়মিত লিখছেন না। ভালো থাকুন আপনি।
নূসরাত জাহান ঊর্মি অনেক ভাল লেগেছে আপনার গল্পটি। শুভেচ্ছা সহ ভোট রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন। নিয়মিত আশা করছি আপনাকে...

২৫ মে - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৪৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "নগ্নতা”
কবিতার বিষয় "নগ্নতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মে,২০২৪